ধামরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯১৩ খ্রিঃ অতি গ্রামীন সবুজ শ্যামলে ঘেরা জনপদে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন শ্রী শ্রী বঙ্গচরন মজুমদার ও শ্রী শ্রী চন্ডীচরন মজুমদার সহ তাদের বংশদধরগণন। তাদের প্রতি আমি অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ সহ
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
“জ্ঞানই শক্তি” “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড” এ গভীর অনুভূতি থেকে বিদ্যা নিকেতনখানা তারা যখন থেকে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছিলেন সে থেকে অদ্যাবদি অসংখ্য জ্ঞান পিপাসু বিদ্যার্থী জ্ঞানের অপুরস্ত জ্ঞান ভান্ডার পূর্ন করে সূর্যরশ্মি সম আলোয় আলোকিত করে যাচ্ছেন দেশ – বিদেশে। ১৯১৪ সালে এককালীন ৪০ বছর স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়।১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ৮ম শ্রেনীর স্বীকৃতি লাভ করে। অদ্যাবদি প্রায় ৮০-৯০ জন ৫ম ও ৮ম শ্রেণিরতে বৃত্তি লাভ করেন।
আমি ১৯৮৭ খ্রিঃ ১৫ ফ্রেব্রুয়ারিতে অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান পূর্বক নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ খ্রিঃ ৯ম শ্রেণী খোলার মাধ্য দিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা শুরু করি। ১৯৯৪ খ্রিঃ সর্ব প্রথম অত্র বিদ্যালয় থেকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় সরাসরি অংশ গ্রহনের মধ্য দিয়ে অদ্যবদি কৃতিত্বের সহিত খুবই সন্তোষজনক ফলাফল করে আসছে।
প্রান্তিক জনপদের কৃষক-শ্রমিকের অতি হত দরিদ্র কিশোর-কিশোরীরা অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো ফলাফল অর্জন করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করছে। গরীব-দুঃখীদের সন্তানদের যে পর্যন্ত সুশিক্ষার আওতায় না আনা যাবে সে পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম অসম্পূর্ণ ভূমিকায় থেকে যাচ্ছে। সময়ের প্রয়োজন আরো উন্নতমানের যুগোপযোগী শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ অটুট রাখার নিমিত্তে আমি সর্বাঙ্গীন সহযোগিতা আন্তরিকতার সহিত প্রত্যাশা করছি।
অতি চমৎকার নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে আমি আমার প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বিচক্ষন,যোগ্য সহকারী শিক্ষক মন্ডলী,কর্মচারী ও অভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে আন্তরিকতার সহিত আপ্রান চেষ্ঠা করে যাচ্ছি বিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে আরো উজ্জ্বল করার জন্য।
বিদ্যালয়টিতে ১৯৮৭ খ্রিঃ থেকে এ পর্যন্ত নিয়ে আসার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বিস্তারে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের নিকট কৃতজ্ঞ।
স্থানীয় পর্যায়ে যাদেরকে স্মরণ না করলে কৃতজ্ঞ থেকে যাব তারা হলেনঃ
সর্ব জনাব মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহম্মদ (সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব),মোঃ আবুল কাশেম(ইন্সট্রাক্টর,পি.টি.আই আলীগঞ্জ), মরহুম ইছমাইল বেপারী (সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য),অধ্যাপক মোঃ দেলোয়ার হোসেন,অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন,অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হক,মোঃ মিজানুর রহমান পাটওয়ারী (সাবেক সহ-সভাপতি)। আরো অগনিত শুভানুধ্যায়ী। আমি সকলের অবদানের জন্য তাদেরকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরন করছি।
উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা লগ্নে ততকালীন সংসদ জনাব এম.এ মতিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির অনুমতি পত্র,মাঠ ভরাট ও শ্রেণিকক্ষ পাকাকরণের কাজে সহযোগিতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ভৌত অবকাঠামো উন্নুয়মে প্রথমেই কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করতে হয় অসামান্য অবদানের জন্য জনাব মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম,সংসদ সদস্য,চাঁদপুর -৫। (সাবেক সফল স্ব্ররাষ্টমন্ত্রী, মক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার,সাবেক সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি) পশ্চিম বিদ্যালয় ভবনটি তারই অবদান। বর্তমানেও তিনি অত্র বিদ্যালয়টিতে উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রেখে যাচ্ছেন ও বিশেষভাবে নজর রেখেছেন।